বিসিএস নিয়ে খুব চিন্তিত ? একটু ফ্রি হন এখন হাতের কাছে তো সব । যান না একটু নেট সার্চ দিন । পেয়ে যেতে পারে আপনার সমস্যার উত্তর। আমার এই পোষ্টটি আপনার সামান্য পরিমাণ কাজে লাগলে আমি ধন্য । তবে চলুন শুরু করি।
কয়েক দিন আগেই প্রকাশিত হল ৩৫তম বিসিএস প্রিলিনারি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি। যারা সরকারি চাকরি করতে আগ্রহী তাদের স্বপ্ন বিসিএস। এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার ইচ্ছা অনেকের থাকে । কিন্তু অনেকে সঠিক দিকদর্শন না পেয়ে খুব হতাশ হয়ে যায়। এর জন্য হয়তো বা কোচিং করতে পারবেন না ভেবে এর জন্য আর প্রস্তুতি নেনে না । কিন্তু না এটা কোচিং ব্যত্যিতেও এটা সম্ভাব । কিন্তু সেটা কিভাবে ?
পরিকল্পনা: প্রথমেই বিসিএস সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জোগাড় করে ফেলতে হবে । পরীক্ষার তারিখ, সিলেবাস, পরীক্ষার ধাপ সমূহ, আবেদন এর শেষ তারিখ ইত্যাদি ।
বই সংগ্রহ: বাজারে বিসিএস এর জন্যে অনেক বই আছে। এর মধ্যে বেছে নিতে হবে ভালো মানের বই। এই জন্যে সাহায্য নিতে পারেন পূর্বে বিসিএস এ উত্তীর্ণ সিরিয়াস কারো কাছ থেকে। বিষয় অনুযায়ী বই কিনে ফেলতে হবে। প্রয়োজনে একটি বিষয়ের জন্যে একের অধিক বই সংগ্রহ করা যেতে পারে।
পড়ার সঙ্গী নির্বাচন: গ্রুপ স্টাডি এই পরীক্ষার জন্যে খুবই জরুরি । বিশেষ করে যারা নতুন পরীক্ষার্থী তাদের জন্যে পুরানো পরীক্ষার্থীর সাথে গ্রুপ স্টাডি করতে হবে । একাধিক সঙ্গী হলে ভালো । তবে এমন কাওকেই আপনার পড়ার সঙ্গী বানাতে হবে যে আপনার মতই সিরিয়াস এবং যার সাথে আপনার এক সাথে পড়ালেখা করতে সুবিধা হবে ।
টাইম টেবিল: আগেই জেনে নিন ঠিক কত সময় হাতে আছে আপনার এবং প্রতিদিন কত ঘন্টা সময় আপনি পড়বেন । কোন বিষয় এর জন্যে কত ঘন্টা বরাদ্দ কবেন যেন সব বিষয় পড়া হয়। সেই হিসেবে ভাগ করে নিন আপনার সময় কে।
পড়ার পরিবেশ: পড়ার পরিবেশ অনেক ক্ষেত্রে পড়ার মনযোগ তৈরি করা, আগ্রহ তৈরি করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূুমিকা রাখে। কোথায় পড়বেন সেটা নির্বাচন করে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এর লাইব্র্রেরী তে চলে যেতে পারেন । অথবা কোন পড়ার সঙ্গীর বাসায় কয়েকজন মিলে পড়ার পরিবেশ তৈরি করে নিতে পারেন।
কোচিং এর প্রয়োজনয়তা: অনেকেই বলে কোচিং ছাড়া বিসিএস এ চান্স পাওয়া সম্ভব না। আবার অনেকেই বলে কোচিং করলে সময় নষ্ট হয়। আসলে কোচিং এর গুরুত্বটা সম্পূর্ণ আপনার উপর নির্ভর করবে । আপনি যদি নিজে পড়তে না পারেন এবং যথেষ্ট মনযোগী না হন তাহলে কোচিং করা ভালো।
মডেল টেষ্ট: যে কোন পরীক্ষার জন্যেই মডেল টেষ্ট এর গুরুত্ব খুবই বেশি । মডেল টেষ্ট পরীক্ষার জন্যে আপনার প্রস্তুতি কেমন সেটা সম্পর্কে ধারণা দিবে এবং আপনার কোন বিষয়ে আরো কত জোর দিতে হবে সেটাও জানতে পারবেন । নিয়মিত মডেল টেষ্ট দিতে হবে ।
পূর্ববর্তী বিসিএস এর প্রশ্ন: পূর্ববর্তী বিসিএস এর প্রশ্ন একই রকম না আসলেও সেই প্রশ্ন সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে । এতে আসন্ন বিসিএস এ কি ধরনে প্রশ্ন হতে পারে আপনার ধারণা হয়ে যাবে কমবেশি। প্রশ্নের মান, কোন বিষয়ে আপনার কি ধরনের প্রস্তুতি নিতে হবে এগুলো জানা যাবে ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন